রংপুর টাইমস :
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
প্রশাসন ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২৫ হাজার মানুষ উঠলেও অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার বহুতল বাড়িতে। চারদিন ধরে সেসব বাড়িতে চলছে থাকা- খাওয়ার আয়োজন। বাড়ির মালিকরাই খাবারের ব্যবস্থা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফেনী নদী তীরবর্তী করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধুম ও ওচমানপুর ইউনিয়নের দোতলা থেকে চারতলা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন শত শত মানুষ। তারা এখনো পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন।
বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী মো. শামসুদ্দিন। তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তিনি বলেন, ধুম ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার আশপাশের প্রায় ২০০ মানুষ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে আমাদের বাড়িতে উঠেছেন। প্রতিবেলায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনো গলাসমান পানি থাকায় কেউ বের হতে পারেননি।
শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমি, আমার বড় ভাই আলী হায়দার টিপুসহ সব ভাই মিলে সবার খাবারের জোগান দিচ্ছি। বাবুর্চি এনে প্রতিবেলায় রান্না করা হচ্ছে। অনেক কষ্টে বাজার থেকে নৌকায় করে খাদ্যসামগ্রী আনা হচ্ছে। কারও কাছ থেকে এক প্যাকেট ত্রাণও আমরা গ্রহণ করিনি। পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সবার থাকা-খাওয়া অব্যাহত থাকবে।’